বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের (৭৩) ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (০৭ মে) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মামলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাসেল ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আয়নুল মারুফকে আসামি করা হয়েছে। রাসেল ওই ওয়ার্ডের মৃত আবদুস ছাত্তারের ছেলে আর মারুফ একই এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (০৬ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান তার চরকাঁকড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি থেকে রিকশাযোগে বসুরহাট আসার পথে বদু কেরানীর পোল নামক স্থানে তার ওপর হামলা করা হয়। 

খিজির হায়াত খান বলেন, বসুরহাট আসার পথে কাউন্সিলর মো. রাসেল ও ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আমাকে বহনকারী রিকশার গতিরোধ করে। এ সময় কাউন্সিলর রাসেল আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে রিকশা থেকে নামায় এবং মারুফ আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। রিকশাচালক রফিকুল ইসলামকেও (৩৫) পিটিয়ে আহত করে। সে চরহাজারী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছায়েদল হকের ছেলে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর