তানিশা ইসলাম তিশা

ফেনী সদরের কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামের স্কুলছাত্রী তানিশা ইসলাম তিশাকে (১১) হত্যার কথা স্বীকার করেছে তারই চাচাতো ভাই (১৭)।

শুক্রবার (০৭ মে) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে এই কিশোর।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ছোটবেলায় বাবা মারা যায় ওই কিশোরের। তখন থেকে চাচা-জেঠা ও ফুফুর সহযোগিতায় সংসার চলে তাদের। এ নিয়ে সব সময় খোঁটা শুনতে শুনতে তার মনে ক্ষোভ জন্মায়। সে ক্ষোভ থেকেই জেঠাতো বোন তিশাকে হত্যা করে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, শুক্রবার তিশার ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই কিশোরকে একমাত্র আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জবানবন্দি শেষে আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও রশি পেঁচানো ছিল। ছাদে মরদেহের পাশেই পড়েছিল তার চাচাতো ভাই অভিযুক্ত কিশোরের জুতা। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খুনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে ওই কিশোর। 

এদিকে শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় তিশার। বিকেলে জানাজা শেষে আলী আহম্মদ ভূঞা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

হোসাইন আরমান/এএম