বাগেরহাটে টিকটকে আপত্তিকর ছবি পোস্টের জের ধরে সোমা আক্তার (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম শান্ত (২২)। শনিবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের দশানী প্যাকেজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে শান্ত বাগেরহাট মডেল থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

সোমা আক্তার বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। 

আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত দশানী প্যাকেজ মোড় এলাকার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। 

শান্তর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, টিকটক, লাইকি অ্যাপস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোমার অ্যাকাউন্ট ছিল। সোমা সেসব অ্যাকাউন্টে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করতেন। এসব নিয়ে স্বামী নাইমের সঙ্গে তার কলহ লেগেছিল। শনিবার ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করলে বিকেলে নাইমের বাড়িতে আসে সোমা। সেখানে সন্ধ্যার দিকে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে সোমাকে হত্যা করেন নাইম। নাইমের বাবা-মা ঢাকায় থাকায় বাড়িতে শুধু তারা দুজন ছিল। সোমার পরকিয়া সম্পর্ক ছিল, পুলিশের কাছে এমন অভিযোগও করেছেন তার স্বামী।

সোমার ভাই রাসেল জানান, ছেলে বেকার। আমার বোনকে খেতে-পড়তে দিত না। এসব নিয়ে সংসারে ঝামেলা হতো। এই কারণেও হত্যা হতে পারে।

বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, শান্ত নামে এক যুবক থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।শান্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। সে হত্যার দায় ও কারণ পুলিশকে জানিয়েছে। এরপরও হত্যার সঙ্গে অন্য কোন বিষয় জড়িত আছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১৯ সালে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়েছিল।

তানজীম আহমেদ/এসপি