মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজত নেতা মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। রোববার (০৯ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসেনের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আব্দুর রহিম কাসেমী হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।  গত ২৩ এপ্রিল তিনি সংগঠনের সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেন তিনি। 

গত ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘর থেকে আব্দুর রহিম কাসেমীকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, তাণ্ডবের ঘটনায় আব্দুর রহিম কাসেমী নিজের দায় স্বীকার করেছেন। তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসেনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলি মোড় থেকে মৎস্য ভবন এবং শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে যারা বিভিন্নভাবে ইন্ধন ও উসকানি দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন জবানবন্দিতে তাদের নাম বলেছেন আব্দুর রহিম কাসেমী। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, আব্দুর রহিম কাসেমী নিজের দোষ স্বীকার করে যাদের নির্দেশে সরকারি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর