সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে রোববার (০৯ মে) বেলা ১১টার পর থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি কোনো ফেরি। ফলে বাংলাবাজার ঘাটে ভিড় জমে ঢাকামুখী জরুরি যানবাহন ও যাত্রীদের। 

রাত ৮টার দিকে তিনটি ফেরি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে পোঁছামাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় তিন হাজার যাত্রী ও কয়েকশ পরিবহন নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ওই তিনটি ফেরি।

জানা গেছে, বিজিবি মোতায়েনের পরও রোববার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। বিজিবির বাধা সত্ত্বেও জোর করে ফেরিতে ওঠেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া ঘাট থেকে সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে ফেরি শাহপরাণ। 

এর আগে ১১টি অ্যাম্বুলেন্স ও কিছু যাত্রী নিয়ে আসে ফেরি ফরিদপুর। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি দুটি আবার শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এরপর আর কোনো ফেরি বাংলাবাজার ঘাট থেকে থেকে ছেড়ে যায়নি। 

সারাদিন ফেরি চলাচল না করায় বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় জমে। লাশবাহী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে নিয়োজিত শত শত যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। 

পরে রাত ৮টার দিক শাহ এনায়েতপুরী, শাহ ফরিদপুরী ও বিআইডব্লিটিসি কুমিল্লা নামে তিনটি ফেরি ঘাটে ভেড়ে। ফেরিগুলো ঘাটে ভেড়া মাত্রই জরুরি পরিবহনের পাশাপাশি হাজার হাজার যাত্রীও ফেরিতে উঠে পড়েন। 

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

নাজমুল মোড়ল/আরএআর