মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোট সংঘর্ষের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সময় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম নেশাগ্রস্ত ছিলেন। জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোকে ওই দুর্ঘটনার মূল কারণ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহ আলম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোর কারণেই ২৬ জন যাত্রীর প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

তদন্ত কমিটি বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্পিডবোট চলাচল ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে। 

আরও পড়ুন : শিবচরে নৌ-দুর্ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, চালক শাহ আলম মাদকাসক্ত ছিলেন। স্পিডবোট দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল এটি। চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোর কারণেই ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারালেন। 

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হচ্ছে- স্পিডবোটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। সুপারিশগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩ মে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসার পথে কাঁঠালবাড়িতে নোঙর করা বাল্কহেডকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি দ্রুতগতির স্পিডবোট। এতে প্রাণ হারান ২৬ যাত্রী। আহত হন স্পিডবোটের চালকসহ পাঁচজন। ওই দিন বিকেলে স্পিডবোটের চালক শাহ আলমকে আটক করা হয়

ওই ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আযহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রোববার (৯ মে) দুপুরে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আযহারুল ইসলাম। 

নাজমুল মোড়ল/এইচেক