রাজবাড়ীতে পেঁয়াজচাষিদের হতাশা
দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৩ শতাংশ উৎপাদিত হয় রাজবাড়ী জেলা থেকে। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে পেয়াজের আবাদ। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ।
কৃষকেরা বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি না হলে এ বছর ভালো দাম পাবেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের পরামর্শের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ভারত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে এখন ব্যাপক পরিমাণ পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়ে লোকসানের মুখোমুখি হবেন তারা। এ ছাড়া এ বছর মুড়ি কাটা পেঁয়াজে অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ বেশি পড়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। এই খবরে হতাশ হয়ে পড়েছেন রাজবাড়ীর পেঁয়াজচাষিরা। ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার বেশি পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। দামও পাচ্ছেন ভালো। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা।
বিজ্ঞাপন
কৃষকেরা বলছেন, ভারত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে এখন ব্যাপক পরিমাণ পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়ে লোকসানের মুখোমুখি হবেন তারা। এ ছাড়া এ বছর মুড়ি কাটা পেঁয়াজে অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ বেশি পড়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
আমরা সব সময় বলে থাকি, চাষিরা যখন তাদের পেঁয়াজ মাঠ থেকে উত্তোলন করেন, সেই সময় বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার জন্য। যদি ওই সময় বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, তাহলে চাষিরা মোটামুটি একটি দাম পাবেন এবং পেঁয়াজ উৎপাদনের উৎসাহ ধরে রাখা যাবে।
জেলা প্রশাসক, রাজবাড়ী
তা ছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণের সময় কয়েক দফায় বৃষ্টির কারণে অনেক পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় ফলনও কম পাচ্ছি। প্রতিবছর বিঘায় ৫০ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হতো কিন্তু এবার বিঘাপ্রতি উৎপাদন হচ্ছে ২০ থেকে ৩০। ফলে লোকসানে পড়তে হবে চাষিদের। এ কারণে অন্তত আরও দুই থেকে তিন মাস পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ার দাবি তাদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের কৃষিবিষয়ক পরামর্শের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। গত বছর এই জেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল ২৯ হাজার ৯৭৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ছিল ৫ হাজার ৮৮৮ হেক্টর। এ বছর আবাদের পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে জানান, চাষিরা যেন লাভবান হন, সে জন্য সব সময় তাদের কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া লাভজনক উৎপাদনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও বলা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় বলে থাকি, চাষিরা যখন তাদের পেঁয়াজ মাঠ থেকে উত্তোলন করেন, সেই সময় বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার জন্য। যদি ওই সময় বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, তাহলে চাষিরা মোটামুটি একটি দাম পাবেন এবং পেঁয়াজ উৎপাদনের উৎসাহ ধরে রাখা যাবে।
এনএ