ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বুধবার (১২ মে) ভোর থেকে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। দীর্ঘ যানজটে আটকে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ চরমে।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা চাকরিজীবী শফিউল আলম সকাল ৯টার দিকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডে যানজটে আটকা পড়েন। তিনি বলেন, স্ত্রী ও ছয় মাসের মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওযার জন্য ভোর পাঁচটায় রওনা হই। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠি। সায়েদাবাদ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আসতে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। 

ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী প্রাইভেটকারের চালক শামসুল ইসলাম বলেন, ভোর পৌনে ৫টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে নোয়াখালীর দিকে রওনা দিয়েছি। পথে পথে শুধু যানজট আর যানজট। গণপরিবহন ছাড়াই মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি। গণপরিবহন চলাচল করলে অবস্থা কী হতো?

কুমিল্লাগামী মাইক্রোবাসের চালক কফিল মিয়া বলেন, ঈদ সামনে রেখে পথে পথে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সময় ও গ্যাসের অপচয় হচ্ছে। ওই মাইক্রোবাসের যাত্রী চান্দিনা সদরের বাসিন্দা চাকরিজীবী আলমগীর হোসেন বলেন, আজ সকালে রওনা দিয়ে পথে তীব্র যানজটে আটকা পড়ি।

কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে কিছুটা ধীরগতি ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

শেখ ফরিদ/এসপি