হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিলেও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছুটির একদিন আগে অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবশ্য উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেনের দাবি, সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অফিসে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) বুধবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের সব কক্ষে তালা। অথচ একই ভবনে ইউএনও অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, পল্লী উন্নয়ন অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, হিসাবরক্ষক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন।

এলজিইডি অফিসে ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিপরীতে সাতজন কর্মরত থাকলেও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। ফলে সেবাগ্রহীতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তরিকুল রহমান নামের এক কর্মচারী তড়িঘড়ি এসে অফিসের তালাগুলো খুলতে থাকেন। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা বাজে। কি কারণে অফিস সহায়ক অফিসের তালা খোলেননি, আমি জানি না। আমি অফিসে এসে দেখি কেউ নেই। তাই আমার কাছে যে চাবি ছিল, তাই দিয়ে তালা খুলছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন অফিসে নেই; তা আমি বলতে পারব না।

খবর নিয়ে জানা গেছে, অফিস প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন কয়েকদিন ধরে অফিসে আসেন না। কর্মস্থলে নিয়মিত থাকেন না। অফিস টাইম শুরুর অনেক পর আসেন। শেষ হওয়ার আগেই চলে যান। সঠিক তদারকির অভাবে উন্নয়নমূলক কাজে নানা অনিয়মের সুযোগ পান অফিসের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে নজির হোসেন বলেন, ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন। তাই অফিসে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অফিসের সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তিনজনের একটু সমস্যা। তাই তারা চলে গেছেন। সরকারি নির্দেশ আছে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না; আপনি নিজেই কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, কেন অফিসে কেউ নেই; তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএম