ঈদের আগে আমার ঘরটা ভেঙে গেল। এখন বউ বাচ্চা নিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে আকাশের নিচে। চেহারায় চিন্তার ছাপ নিয়ে এভাবেই বলছিলেন, আব্দুল হাকিম ও বিলকিছ বেগম দম্পতি। তারা শেরপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কসবা কাঠগড় মহল্লার বাসিন্দা।

আব্দুল হাকিম জানান, গত ১০ মে রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে হঠাৎ তাদের বাড়ির পেছনে একটি বড় গাছ চালের ওপরে এসে পড়ে। এসময় তিনি, তার স্ত্রী, ২ ছেলে এবং ২ মেয়ে ঘরের ভেতরেই ছিলেন। 

তিনি বলেন, সেদিন আল্লাহ আমাদের অল্পতেই বাঁচিয়ে দিয়েছেন। না হলে যেভাবে ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে গেছিল, আমাদের তো বাঁচার কথা ছিল না। 

আব্দুল হাকিমের স্ত্রী বিলকিছ বেগম বলেন, গত কয়েক মাস আগে একটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে ঘরটি দিয়েছি। এখনো ঋণের পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারি নাই। আমার স্বামী একজন শ্রমিক। সে দৈনিক কাজ করে যে টাকা উপার্জন করে তা দিয়ে ৬ জনের অভাবের সংসার কোনোমতো চলে। এখন এই ভাঙা ঘরটি ঠিক করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। আমাদের পুরা কপাল এবারের ঈদটি কাটবে আকাশের নিচে।

এ ব্যাপারে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়েছি। এখন ঈদের ছুটি চলছে। ঈদের পর মেয়রসহ হাকিমের বাড়ি পরিদর্শন করে শেরপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

জাহিদুল খান/এমএএস