পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও পাঁচ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিরোজপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সোবাহানও আহত হয় বলে জানান পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।

আহতরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান মো. হনিফ খান (৪৫), মিজান শেখ (৩৮), মুনান খান (১৯), লিটন খান (৪০), তন্ময় গাজী (২০) ও তাজুল ইসলাম (২২)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান জানান, তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঈদের পরে কুশল বিনিময়ের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় বায়জিদ ও সিহাবের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদার, সজিব সিকদার, বক্কর, সোহেল খান, সাহেদ, বাবুল, শহীদ, আনিস, এনায়েত সিকদারসহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাদের ওপরে বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং তার সঙ্গে থাকা ৭-৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পুলিশ তাদের বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় সদর থানার ওসি (অপারেশন) গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তাকে পরাজিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে সন্ত্রাসীরা।

ঘটনাস্থলে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনামুল হক ইরান জানান, নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের হত্যা করার জন্যই সন্ত্রাসীরা এ হামলা করেছে। সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত দলের নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিক নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খানসহ ছয় জন নেতাকর্মী আহত হয়।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় মজুমদার জানান, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার পরপরই তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশেও আহত আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. আবীর হাসান/এসএসএইচ