অবশেষে জাতীয় পার্টি ছাড়লেন সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির দুই প্রভাবশালী নেতা রেজাউল করিম ও লিয়াকত হোসেন। রোববার এ উপলক্ষে উপজেলা যুবলীগ নেতাদের লিয়াকত হোসেনের কৃষ্ণপুরা গ্রামের বাড়িতে দাওয়াত করে ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়।

সেখানে পৌরসভা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লিয়াকত হোসেন ও জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য রেজাউল করিম দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। এ সময় সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রেজাউল করিম ও লিয়াকত হোসেন বলেন, জীবনে যত দিন বেঁচে থাকব আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত থাকব। জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ ব্লাকমেইল করে আমাদের দুজনকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করিয়েছিল।

আওয়ামী লীগে যোগদান করে জাতীয় পার্টির এ দুই নেতা আরো বলেন, সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টির বর্তমানে কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা করে মুখে মুখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দল চালাচ্ছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সনমান্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন শাবু, আওয়ামী লীগ নেতা টগর, মানিক, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহামুদসহ আওয়ামী লীগসহ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

যোগদান অনুষ্ঠানে মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, সোনারগাঁয়ে বর্তমানে জাতীয় পার্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর সহ বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রকারী ১৫/২০টি মামলার আসামি বিএনপির সন্ত্রাসীরা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে হেফাজতে মামলার আসামি হয়ে এখন এলাকা ছাড়া হয়েছে। সোনারগাঁ পৌরসভার এ দুই প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান করার কারণে দল আরো শক্তিশালী হবে। আমরা হেফাজত, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের কাউকে দলে যোগ দিতে দেব না। এটাই আমাদের দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

শেখ-ফরিদ/এমএএস