ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম, ছুটি শেষ তাই কর্মস্থলে ফিরছি। সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সহজেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি। ফেরিতে শান্তিতে নদী পার হলেও সড়কে ভোগান্তিতে পড়েছি।

সোমবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বারবাড়িয়া ব্রিজ এলাকায় কথা হচ্ছিল  কর্মস্থলে ফেরা পোশাকশ্রমিক শেখ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ফেরিতে কোনো ঝামেলা নেই। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে লোকাল বাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলযোগে। 

তবে যে সকল যাত্রী লোকাল বাসযোগে আসছেন তাদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া এলাকায় নামিয়ে দিচ্ছেন বাসের চালকরা। এরপর এখান থেকে হেঁটে ব্রিজ পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ফলে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে তাদের। এতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোকে পাটুরিয়ার দিকে ফেরত পাঠাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ।

শেখ শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তিনি। ছুটি শেষ হওয়ায় স্ত্রী, সন্তান নিয়ে কর্মস্থলে ফেরার পথে অনায়াসে ফেরি পার হতে পারলেও সড়ক পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘাট থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে স্থানীয় বাসযোগে বারবাড়িয়া ব্রিজ পর্যন্ত এসেছেন। এই রোদে পরিবার নিয়ে হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে আবার অন্য বাসে উঠতে হবে। সড়ক পথে যাত্রীদের এমন ভোগান্তি দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

নাছির হোসেন নামে আরেক যাত্রী বলেন, সাতক্ষীরা থেকে সকাল ৪টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে পৌঁছেছি। ঘাটে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ফেরিতে উঠতে পেরেছি। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হতে পেরেছি। তবে পাটুরিয়া এসে বাস পাচ্ছিলাম না। বাসে উঠার পর হেলপার বলছেন ঢাকা যাবেন না। বাস যাবে বারবাড়িয়া পর্যন্ত আর ভাড়া ১০০ টাকা। সরাসরি ঢাকায় যেতে ভাড়া একটু বেশি নিলেও আমাদের মতো যাত্রীদের সমস্যা নেই। তবে সড়ক পথে একবার বাস থেকে নেমে দেড় দুই কিলোমিটার হেঁটে আবার বাসে উঠা অনেক কষ্টকর। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও সোমবার (১৭ মে) সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা কম। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ঈদ ফেরত যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

সোহেল হোসেন/এসপি