স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ঝিকরগাছা আ.লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা
বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জুমের মাধ্যমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুলের সভাপতিত্বে এবং প্রস্তাবিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক মনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়েছিল। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে সেদিন আওয়ামী লীগে দ্বিধাবিভক্তি হয়নি। দীর্ঘ সময় আন্দোলন সংগ্রাম করে দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান বক্তা সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই- ৭৫ ও ৭১ এর খুনিদের বিচার ও রায় কার্যকর হয়েছে। একজন শেখ হাসিনা স্বদেশে এসেছিলেন বলেই- আমরা মহাকাশ বিজয় করেছি, সমুদ্র বিজয় করেছি, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা পেয়েছি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে বিদেশে থাকার কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় সৌভাগ্যক্রমে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা প্রাণে বেঁচে যান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাযাবর জীবন কাটিয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী প্রায় ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার চলার পথ কখনো পুষ্প বিছানো ছিল না। তবুও তিনি এগিয়ে গেছেন মানুষের মুক্তির জন্য, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি এসেছিলেন বলেই কলহ-কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও চার দশক অতিক্রম করেছেন।
এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার এনামুল কবীর, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর বাবরজান বরুণ, জেলা কৃষকলীগ নেতা আকবর হোসেন জাপানী, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোস্তফা আসাদুজ্জামান, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, পানিসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হেলালউদ্দীন খান, নাভারণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বুলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল রায়হান, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীরে প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সদ্য সাবেক ডাকসু নেতা মাহমুদুল হাসান বাবু, শংকরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল হক গাজী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, করোনাকালীন ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত রাখার জন্য দলীয় ও জাতীয় দিবস এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড জুম অ্যাপসের মাধ্যমের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করে থাকেন।
এমএএস