ভিক্ষার টাকায় স্কুলশিক্ষকের জন্য মিষ্টি কিনলেন লাইলী
ভিক্ষার টাকায় স্কুলশিক্ষকের জন্য মিষ্টি কিনলেন লাইলী বেওয়া
ভিক্ষার টাকায় স্কুলশিক্ষকের জন্য মিষ্টি কিনলেন লাইলী বেওয়া নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। এবারের ঈদে বৃদ্ধাকে একটি শাড়ি দিয়েছেন শিক্ষক। সে শাড়িতে কেটেছে ঈদ। খুশি হয়ে শিক্ষককে মিষ্টি উপহার দিতে চান এই ভিক্ষুক।
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুরের উত্তরা কাচারি এলাকায় থাকেন লাইলী। স্বামী কছির উদ্দিন তিন বছর আগে মারা গেছেন। তিন ছেলে থাকলেও লাইলী থাকেন একা। সংসার চলে ভিক্ষা করে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদে লাইলীকে একটি শাড়ি দিয়েছেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মানিক ইসলাম। ঈদের দিন নতুন শাড়ি পরে আনন্দের শেষ ছিল না তার। বুধবার (১৯ মে) বিকেলে পৌর শহরের অভিজাত মিষ্টান্নের দোকানে যান লাইলী। দরজায় দাঁড়িয়ে কর্মচারীকে ইশারায় ডেকে নিয়ে হাতে কয়েকটি নোট দেন। টাকা গুনে ম্যানেজার দেখেন ৪৫ টাকা। তখন ৩০০ গ্রাম মিষ্টি প্যাকেট করে দেন।
মিষ্টি কেনার বিষয়ে লাইলী বেওয়া বলেন, এবার ঈদে মানিক মাস্টার কাপড়া (শাড়ি) দিছিল। ওই বাবাক মিষ্টি খাওয়াইম। তার জন্য মিষ্টি কিননু।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ডিমলা উপজেলার ছাতনাই কলোনি এলাকায় বিয়ে হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা কাচারি এলাকায় থাকি। দুই ছেলে দিনমজুর। এক ছেলে ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে। আমি একা থাকি। ভিক্ষা করে যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে। প্রতিবন্ধী হিসেবে এবার প্রথম ভাতা পেয়েছি।
নীলকদম মিষ্টান্নের নীলফামারী শাখার সেলস ম্যানেজার বাবুল হোসেন বলেন, ওই চাচি প্রায় দোকানের সামনে আসেন। হাসি দিয়ে বলেন, বাবা ভালো আছেন। আমাদের সামর্থ্য থাকলে দান করি, না হয় ফিরিয়ে দিই। তবে এবার মিষ্টি কিনেছেন। তার কথাবার্তা অনেক ভালো। অন্যদের মতো না।
মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এএম