নামফলকে নাম নেই, খুলে ফেললেন উপজেলা চেয়ারম্যান
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণকাজের উদ্বোধনের ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলক নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নামফলকে নিজের নাম না থাকায় তা তুলে ফেললেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (১৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনের প্রস্তাবিত জায়গা আম্রকাননে ওই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে জানান, আগামী (২১ মে) শুক্রবার ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার অধিদফতর কর্তৃক উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন হওয়ার কথা আছে।
তিনি বলেন, বুধবার আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রস্তাবিত জায়গায় উপস্থিত থেকে নামফলকে তার নাম না থাকায় তিনি ওই নির্মাণশ্রমিকদের দিয়ে নামফলক খুলে ফেলেন। তবে পরিপত্র অনুযায়ী তিনি এই কাজ করতে পারেন না।
বিজ্ঞাপন
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খুলে ফেলে দেওয়া হয়নি। তবে লাগাতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছিল মাননীয় সংসদ সদস্য উদ্বোধন করবেন এবং উপস্থিত আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী। এই নামগুলো যখন আমরা ফলক লাগাতে গিয়েছিলাম, তখন দেখলাম যে এই নামগুলো নেই। এ জন্য ওইটা সংশোধন করে নিয়ে এসে লাগানো হবে। এটা ভাঙা বা ফেলে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আবদুল কুদ্দুস জানান, পরিপত্র অনুযায়ী তিনি এই কাজ করতে পারেন না। এটা একধরনের হিংসামূলক কাজ। কারণ, সংশ্লিষ্ট এলাকার মাননীয় মন্ত্রী/সংসদ সদস্য/সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সমাপ্তির পর উদ্বোধন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করার কথা পরিপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
তাপস কুমার/এনএ