আটকে রেখে নারীকে গণধর্ষণ, দুই যুবকের স্বীকারোক্তি
আটক দুই যুবক
খুলনায় আটকে রেখে এক নারীকে (৩৫) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে ওই দুই যুবক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাসের আদালতে ধর্ষণে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন তারা।
আটকরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার চাকুন্দিয়া গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে রায়হান গাজী (২৩) এবং চুকনগর গ্রামের (সাবেক নরনিয়া গ্রামের) আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আসাবুর রহমান আশিক গাজী (২৩)।
বিজ্ঞাপন
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কেশবপুরের বসুতিয়া গ্রামের ওই নারী বুধবার (১৯ মে) রাত ৯টার দিকে চুকনগর বাজারে যান। সেখানে তিনি তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন। এ সময় দুই যুবক তাদের ধরে একটি চাতালে নিয়ে যান। তাদের চাতালের একটি টিনের ঘরে আটক রেখে দুই যুবক টাকা দাবি করেন। ওই নারী টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন স্থানে ফোন করেন।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে ওই দুই যুবক তার আত্মীয়কে অন্য ঘরে আটকে রেখে ওই নারীকে চাতালের শ্রমিকদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি থানায় জানানো হলে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয় এবং ভোররাতেই অভিযুক্ত দুই যুবককে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
ডুমুরিয়ার রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জিএম ইমদাদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আটক দুই যুবক স্বেচ্ছায় আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিতে চাইলে পুলিশ তাদের দুপুর ১টায় আদালতে হাজির করে। বিকেল ৬টা পর্যন্ত বিচারক তাদের জবানবন্দি রের্কড করেন। পরে আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর