নিহত মাজেদা বেগম, ছোট মেয়ে নুরি ও বড় মেয়ে রাফি

বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মে) রাতে পাঁচজনকে ও শনিবার (২২ মে) সকালে স্থানীয় এক যুবককে আটক করা হয়। 

আটকরা হলেন- প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই মো. শাহা আলম (৪০), মো. আবদুল খালেক (৩৫), নিহত মাজেদা বেগমের বড় বোন রাহেলা বেগম (৪০), তার স্বামী মো. আবদুর রহিম (৪৮),  স্থানীয় যুবক হাফেজ মো. সায়েদুর রহমান ও মো. রবিউল হোসেন।

এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লামা পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০), মেয়ে রাফি (১৩) ও নুরির (১০ মাস) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নুর মোহাম্মদের বড় স্ত্রীর মেয়ে রাবেয়া ইয়াছমিন (২২) বলেন, আমার ছোট মা মাজেদা বেগমকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে, ছোট বোন নুরিকে গলা টিপে ও মেজো বোন রাফিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। 

তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আমার ছোট মা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকা তোলেন। খুনিরা হয়ত পরিচিত। না হলে তারা অনায়াসে ঘরে কীভাবে ঢুকবে। খুনিরা জোর করে ঢুকলে ঘরের লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসত। তাছাড়া এমনও হতে পারে খুনিরা আগে থেকেই ঘরে ঢুকে ওঁৎ পেতে ছিল। 

বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (লামা পুলিশ সার্কেল) মো. রেজাওয়ানুল ইসলাম বলেন, ঘরের আলমারি ও ওয়ারড্রব ভাঙা ছিল। ঘরে চুরি-ডাকাতিরও আলামত পাওয়া গেছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার  ঢাকা পোস্টকে বলেন, লামায় মাসহ দুই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি বাদী হয়ে লামা থানায় মামলা করেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। 

তিনি আরও জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ, পিবিআই ও র‌্যাব একসঙ্গে কাজ করছে। আশা করছি শিগগিরই এই হত্যার রহস্য উৎঘাটন হবে। 

রিজভী রাহাত/আরএআর