কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অভিযান ও টহল অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। তাই গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন অধিকাংশ পরিবারের পুরুষ। ঘটনাটি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের দড়িকমলপুর ব্রিজ এলাকার।

ওই গ্রামের নারীরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে সাবেক ইউপি সদস্য আতর আলী বিশ্বাস ও বর্তমান ইউপি সদস্য ওয়াদুদ শেখ একই গ্রুপে ছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র আলাদা হয়ে যান তারা। এরপর থেকেই যেকোনো সামান্য ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে শেখ গ্রুপের হাসান খন্দকারকে (৭০) পিটিয়ে আহত করে বিশ্বাস গ্রুপের আলামিন, আনোয়ারসহ পাঁচজন। এনিয়ে থানায় শেখ গ্রুপের পক্ষে একটি মামলা হয়। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ২১ মে রাতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এ বিষয়ে শেখ সমর্থিত খন্দকার আশরাফের স্ত্রী বলেন, কয়েকদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জেরে ২১ মে রাতে বিশ্বাস গ্রুপের লোকজন আমাদের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ভাংচুর চালায়। এখন গ্রামে সবসময় পুলিশ ঘোরাফেরা করছে। পুলিশের ভয়ে অনেক বাড়ির পুরুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বিশ্বাস সমর্থিত আলামিনের স্ত্রী বলেন, যেকোনো ঘটনা ঘটলেই বিশ্বাস গ্রুপের আতর মেম্বরের দোষ হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে ভাংচুর চালায়। পথেঘাটে আমাদের লোকজন পেলে ওরা মারধর করে। এলাকায় কোনো পুরুষ মানুষ নেই, তাই ঘরে বাজারও নেই। পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে আছি।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, কী নিয়ে দুই পক্ষ মারামারি করে, তা তারা নিজরাই জানে না। যেকোনো বিষয়ে বিশ্বাস ও শেখ গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আগের ঘটনায় শেখ গ্রুপ একটি মামলা করেছে থানায়। এরপর শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না।

রাজু আহমেদ/এসকেডি