করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (২৪ মে) সকাল ৬টা থেকে আগের শিডিউল অনুযায়ী চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। 

এদিকে লঞ্চ চলাচলের প্রথম দিনে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেক লঞ্চে যাত্রীদের আসন সীমিত রেখে ঢাকার উদ্দেশে এক ঘণ্টা পর পর চাঁদপুর ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর থেকে সকাল ৬টায় একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর আগের শিডিউল অনুযায়ী সকল লঞ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে। একটি সিট খালি রেখে যাত্রীদের বসানো হচ্ছে। লঞ্চে প্রবেশের আগে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে এসেছেন ইসমাইল ও রাকিবুল হাসান রাকিব। তারা বলেন, দীর্ঘ দিন পর লঞ্চ চালু হলো। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী উঠাচ্ছেন। ভাড়া নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা চাই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাক। সব থেকে বড় কথা হলো গণপরিবহন চালু করায় আমাদের দুর্ভোগ কমেছে।

রফ রফ ও মিতালি লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ইউসুফ আলী বেপারি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। একটি আসন খালি রেখে যাত্রী বসানো হচ্ছে। লঞ্চের প্রবেশ পথে আমাদের স্টাফরা যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করছেন। কোন যাত্রীকে মাস্ক ছাড়া লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। 

চাঁদপুর লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, সকাল ৬টায় চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে ১৭টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়গঞ্জের মধ্যে রয়েছে ১৩টি ছোট লঞ্চ। সবগুলোই আগের শিডিউল অনুযায়ী চলবে। 

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন পর চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাটে আসছে। যাত্রীসেবা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নৌ থানা পুলিশ ঘাটে অবস্থান করছে।

শরীফুল ইসলাম/এসপি