ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলি ও মগজবিহীন অদ্ভুত এক শিশুর জন্ম হয়েছে। সোমবার (২৪ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তানজিনা বেগম নামে এক নারী ওই শিশুর জন্ম দেন। তবে শিশুটি এখনও সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ফলিক অ্যাসিডের অভাব অথবা প্রসূতি যদি নেশাগ্রস্ত থাকেন তাহলে এমন অদ্ভুত শিশুর জন্ম হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সঙ্গে একই উপলোর ভলাকুট গ্রামের সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা যায়, তার গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং মাথার খুলি থাকবে না। সোমবার বিকেলে প্রসববেদনা উঠলে তানজিনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। পরে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপির তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি হয় তানজিনার। তিনি মাথার খুলি ও মগজবিহীন কন্যাশিশুর জন্ম দেন।

চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপি জানান, সিস্টাররা নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন। শিশুটির খুলি ও মগজ ছিল না। জন্ম হওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়। ফলিক অ্যাসিডের অভাবে এমন শিশুর জন্ম হয়। মায়ের পেটে এই ধরনের শিশুদের মস্তিস্কের পূর্ণ গঠন হয় না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বলেন, এই ধরনের শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। নিউরো সার্জনরা দেখে বলতে পারবেন কিছু করা যায় কি না। এটি জন্মগত ত্রুটি। মা যদি নেশাগ্রস্ত হন, সেক্ষেত্রে এমন শিশুর জন্ম হতে পারে। 

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি