কথিত প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ২

মাদারীপুরে ঈদের পরদিন লাশ উদ্ধার হওয়া ইসমাইল হোসেন ইমনকে ত্রিভুজ প্রেমের কারণে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, ঈদের দিন আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে ডেকে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।। এই ঘটনায় কথিত এক প্রেমিকাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গত ১৫ মে ঈদের পরদিন শিবচরের চরবাঁচামরা গ্রামের পাশে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয় ইমনের। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করলে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কথিত এক প্রেমিকা ও তার সহযোগী মেহেদী ফরাজীকে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সবকিছু তুলে ধরেন পুলিশ সুপার।

এসময় মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আল মামুন জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, ইমনের হাতঘড়ি ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৪ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষ তদন্ত করছেন। শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, এক বছর আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে ইমনের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কথিত প্রেমিকার। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন দুজনে। এদিকে ওই প্রেমিকার সঙ্গে পরিচয় হয় কামরুজ্জামান কামরুল নামে আরেক যুবকের। এরপর থেকে ইমনের মুঠোফোনে থাকা সব ছবি মুছে ফেলতে বলে কথিত ওই প্রেমিকা। ছবি মুছে না ফেলার কারণেই ঈদের দিন বিকেলে কোল্ড ড্রিংসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ইমনকে অচেতন করা হয়। এরপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। 

নাজমুল মোড়ল/এমএসআর/জেএস