গভীর নলকূপের (সেচপাম্প) বৈদ্যুতিক মিটার নিয়মিতই চুরি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটি এবার সেচপাম্প চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে আর রেখে যাচ্ছে তাদের মোবাইল ফোন নম্বর। পরে সেই নম্বরে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের টাকায় আবার ফেরত দিচ্ছে সেচপাম্প।

এসব ঘটনায় বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, শেরপুর উপজেলার কৃষকরা এখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় চক্রটি বেশি সক্রিয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথমে চক্রটি বিদ্যুতের মিটার চুরি করে। এরপর মিটারের জায়গায় মুঠোফোন নম্বর রেখে যায়। সেই নম্বরে কল করলে মিটার ফেরত পেতে গ্রাহকের কাছে প্রতি মিটারের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে চক্রটি।

এদিকে চক্রটি এখন আর বিকাশ নম্বর দিয়ে চাঁদা দাবি করে না। কৌশল বদলে এখন তারা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরি করে নিয়ে যায়।

জানা যায়, কয়েক দিন আগে রাতে কাহালু থানার কালাই ইউনিয়নের পাঁচগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় নতুন করে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরির ঘটনা ঘটেছে। যদিও এর আগে মিটার চুরি করে নিয়ে গেলেও বিকাশে চাঁদা দাবি করে নম্বর দিয়ে যাওয়া হতো। পরে বিকাশে টাকা পেলে তারা মিটার ফিরে দিত। এবার আর মিটার নয়, ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় বগুড়ার কাহালু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অনেকে।

থানা পুলিশ জানায়, ৭ মে কাহালু উপজেলার জামগ্রাম সুখানগাড়ী এলাকা থেকে ১১০ কেজি কয়েল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের ১২টি তামার কয়েল, চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও চুরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চক্রটি গা-ঢাকা দিয়েছে। পুলিশও তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

বগুড়ার কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বলেন, যেসব এলাকায় সেচপাম্প রয়েছে, সেসব এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কৃষি এলাকা বলে এই অভিযান আমাদের অব্যাহত রয়েছে।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এনএ