জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে। কোথাও বেড়িবাঁধ না থাকায় সরাসরি আর কোথাও ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে বিভিন্ন নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামে তিন হাজার লোকের বসতি। শত বছর আগে বসতি গড়ে ওঠা এখানকার মানুষের দাবি ছিল চরআন্ডায় বাঁধ নির্মাণের। কিন্তু সে দাবি এখনো পূরণ হয়নি।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরকাসেম, চরনজির, চরকলাগাছিয়া, চরহেয়ার, মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা ও চরলতা এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেসব এলাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ।

এমন চিত্র পটুয়াখালী জেলার অধিকাংশ চরাঞ্চলে। জেলার গলাচিপা উপজেলার চরবাংলা, ধলারচর ও চরকারফারমা এলাকায়ও বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে প্লাবিত হয়েছে দশমিনা উপজেলার চরবোরহান, বাঁশবাড়িয়া ও পাতার চর এলাকা। এই তিন এলাকায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন, চরবাসুদেবপাশা, চরকালাইয়া, চরশৌলা, চরমমিনপুর এলাকাও পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

ধলারচর গ্রামের আয়নাল আলী মাঝি বলেন, ‘বেড়িবাঁধ দেওয়ার একটা ব্যবস্থা অইলে আমরা বাইস্যা কালে শান্তিতে থাকতে পারতাম।’

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা জানান, চন্দ্রদ্বীপের নানা ধরনের ফসল আবাদ হয়। শতভাগ লোক কৃষক। চন্দ্রদ্বীপজুড়ে বাঁধ হলে ফসল উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যেত। মানুষের দুর্ভোগও দূর হতো।

জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষের জানমাল রক্ষার্থে আমাদের ভলান্টিয়ারগণ মাঠে কাজ করছেন। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহিন বলেন, বরাদ্দ না থাকায় মূলত এমনটি হচ্ছে। তবে চর উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় সব চরেই পর্যায়ক্রমে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএসআর/জেএস