ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলি ও মগজবিহীন জন্ম নেওয়া সেই শিশুটি মারা গেছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে সোমবার (২৪ মে) বিকেলে একই হাসপাতালে মাথার খুলি ও মগজবিহীন ওই শিশুর জন্ম দেন তানজিনা বেগম নামের এক নারী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সঙ্গে একই উপলোর ভলাকুট গ্রামের সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয় দুই বছর আগে। তানজিনা অন্তঃসত্ত্বা হলে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা যায়, তার গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং মাথার খুলি থাকবে না।

সোমবার বিকেলে প্রসববেদনা উঠলে তানজিনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপির তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি হয় তানজিনার। এ সময় মাথার খুলি ও মগজবিহীন কন্যাশিশুর জন্ম দেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আক্তার হোসেন জানান, ফলিক অ্যাসিডের অভাবে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়। শিশুটির পরিবার উন্নত চিকিৎসা করোনার জন্য রাজি ছিল না। যদি ঢাকায় নিয়ে চেষ্টা করত, তাহলে হয়তো আরেকটু সময় পাওয়া যেত।

আজিজুল সঞ্চয়/এনএ