দেশের উত্তরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জেলা পঞ্চগড়। হিমালয় কন্যা নামে খ্যাত পঞ্চগড় চা শিল্পের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও আগামীতে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় জেলা। 

পঞ্চগড়ের ছোট্ট একটি উপজেলা করতোয়া বিধৌত দেবীগঞ্জ। ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি দেবীগঞ্জের বুকচিড়ে বয়ে চলা করতোয়া নদী ও এর আশপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপজেলাটিকে করেছে অনন্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি আইন কিংবা নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেবীগঞ্জ।

প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন বিউটিফুল দেবীগঞ্জের ব্যানারে উপজেলার বিজয় চত্বর মোড়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে একত্রিত হয় ক্লিন দেবীগঞ্জ, প্রাণের দেবীগঞ্জ, সবুজ আন্দোলন, নদী সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। 

মানববন্ধনে বিউটিফুল দেবীগঞ্জের যাকারিয়া ইবনে ইউসুফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দেবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোফাখখারুল আলম বাবু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবু বকর সিদ্দিক, ক্লিন দেবীগঞ্জের সম্পদ শাহরিয়ার, নদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিউটিফুল দেবীগঞ্জের পক্ষে তাওসিফ সারওয়ার, জুলফিকার প্রধান, আব্দেল ওয়াদুদ, অপূর্বসহ আরও অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, দেবীগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানবসৃষ্ট কারণে আজ হুমকির মুখে পড়েছে। ধীরে ধীরে দখল-দূষণে বিনষ্ট হচ্ছে প্রিয় শহরটির প্রাণ প্রকৃতি। দেবীগঞ্জের উন্নতমানের বালু এ অঞ্চলের শত-শত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কিন্তু বালু উত্তোলনে আমরা কতটুকু নিয়মনীতি পালন করছি? সময় অসময়ে নদীতে ড্রেজার মেশিন ব্যবহারের কারণে করতোয়া নদীর গতিপথ বদলে গেছে। কোথাও নদীর চলার পথ সংকুচিত হয়েছে, কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। 

মানববন্ধন শেষে অবিলম্বে করতোয়া নদীর ময়নামতি বালু পয়েন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, মহাসড়কের ওপর ট্রাকে বালু উঠা -নামা বন্ধসহ বেশকিছু দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক প্রত্যয় হাসানকে প্রদান করা হয়। 

রনি মিয়াজী/এমএএস/জেএস