সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব শুরু হয়েছে। উপকূলজুড়ে চলছে তাণ্ডব। বুধবার (২৬ মে) বেলা ১১টা থেকে নদীর পানি ৫-৬ ফুটের অধিক উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গাবুরা ইউনিয়নের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মূল প্রভাব সাতক্ষীরা উপকূলে পড়তে শুরু করেছে। বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে এর প্রভাব শুরু হয়েছে। চলবে টানা তিন ঘণ্টা।

এদিকে উপকূলীয় কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীতে ৫-৬ ফুট উচ্চতায় পানি আছড়ে পড়ছে। উপকূলজুড়ে বিভিন্ন স্থান দিয়ে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। স্বেচ্ছাসেবক, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা সেটি রক্ষার চেষ্টা করছেন। গাবুরা ইউনিয়নের মান্নানের পাইপকল এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীতে তীব্র গতির জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধের শেষ রক্ষা হবে না।

শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর এলাকার বাসিন্দা আজিবর রহমান বলেন, রাস্তাঘাটে পানি উঠে গেছে। আম্ফানের সময়ও নদীতে এত পানি হয়নি। এবার বাঁধ ও উপকূল তীরের রাস্তা উপচে পানি প্রবেশ করছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুল হক বলেন, আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। বাঁধ ভাঙার খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে চলতে থাকলে বাঁধের শেষ রক্ষা হবে না। ৪৩টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। শুনেছি গাবুরা ইউনিয়নে একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। তবে নদী উত্তাল থাকায় এখন নদী পার হয়ে সেখানে যাওয়া অসম্ভব।

আকরামুল ইসলাম/এসপি