স্যামসন এইচ চৌধুরীর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ফাইল ছবি
স্কয়ার গ্রুপের কর্ণধার স্যামসন এইচ চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে পাবনা শহরের উপকণ্ঠ বৈকুণ্ঠপুরের বাসভবন এস্ট্রাসে সমাহিত করা হয়।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার কাশীয়ানী থানার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা ছিলেন ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী। স্যামসন চৌধুরী ভারতে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৫২ সালে পাবনা জেলার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
বাবাকে নিয়ে ১৯৫৮ সালে গড়ে তোলেন স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস। বর্তমানে এই স্কয়ার ফার্মার বাৎসরিক টার্নওভার ৬১৬ কোটি মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে স্কয়ার ফার্মায় ২৮ হাজারসহ স্কয়ার গ্রুপের ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে।
তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে স্যামুয়েল এস চৌধুরী (স্বপন চৌধুরী) বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, মেজ ছেলে তপন চৌধুরী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ছোট ছেলে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু মাছরাঙা টেলিভিশন, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একমাত্র মেয়ে রত্না স্কয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।
বিজ্ঞাপন
তিনি আমেরিকান চেম্বারের পক্ষ থেকে বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্য ইয়ার, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৯ ও ২০১০ সালে সিআইপি মনোনীত হন। ২০১৬ সালে তিনি মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদকে ভূষিত হন।
স্যামসন এইচ চৌধুরী পাবনার অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আধুনিকায়ন করেন। বনমালি ইন্সটিটিউট, পাবনা প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তিনি সহায়তা করেন। তিনি ছিলেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সম্মানিত আজীবন সদস্য।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে পাবনার এস্ট্রাস খামারবাড়িতে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যায় পাবনা প্রেস ক্লাব, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন স্মরণসভার আয়োজন করেছে।
এসপি