চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের খবর পাওয়া গেছে। একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান ও বাল্ব ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এমন হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রাহকের।

জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের বেপারি বাড়ির গৃহবধূ রুমা আক্তারের বৈদ্যুতিক মিটারে ঘটেছে এমন ভুতুড়ে কাণ্ড। তিনি চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন পল্লীবিদ্যুতের মিটার ব্যবহার করেন। 

রুমা আক্তার গত পাঁচ বছর এই বৈদ্যুতিক মিটারটি ব্যবহার করে আসছেন। তিনি একটি ফ্যান, বাল্ব ও মোবাইল চার্জার ব্যবহার করতেন। এতে প্রতি মাসে তার বিল আসত একশ থেকে দেড়শ টাকার মতো। বিল তিনি নিয়মিত পরিশোধও করেছেন। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল পেয়ে তার চোখ চড়কগাছ। এ মাসে তার বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা।

এদিকে বার বার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সমাধান পাননি রুমা। বিদ্যুতের এই বিল দেখে বিলের পুরো টাকাই পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হয় রুমাকে।

এ বিষয়ে রুমা বেগম বলেন, গত পাঁচ বছর ধইরা এই মিটার ব্যবহার করছি। আমি আর আমার স্বামী একটি ফ্যান, বাল্ব আর মোবাইল চার্জার ব্যবহার করতাম। প্রতি মাসে আমাদের বিল আসত একশ থেকে দেড়শ টাকা। কিন্তু এই মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। আমি এত টাকা কীভাবে দিব? এ বিষয়ে আমি সরকারের সহযোগিতা চাই।

চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসে কর্মরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন বলেন, বিল আসার পর আমরা রুমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে দেখেছি। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। যার কারণে মিটারে এত টাকা বিল এসেছে। তাকে এখন কিস্তির মাধ্যমে বিল পরিশোদ করতে বলা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি বলেন, আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। গ্রাহক হয়রানি বিষয়ে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। তারাই সমাধান দিবে।

শরীফুল ইসলাম/এসপি