জাজিরায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকাজ শুরু
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে জেলে ট্রলারে পদ্মা নদী পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ট্রলারডুবির উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ৮টা থেকে আবারও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানান নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মৃদুল চন্দ্র কাপালিক।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পদ্মা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে শিশুসহ নিখোঁজ রয়েছে ওই ট্রলারে থাকা আরও চারজন। রাতে স্রোত ও অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
নিহত মো. আবদুর রহমান আকন (৭০) উপজেলার ফকির মাহমুদ আকনকান্দির মৃত হাবিব খানের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পালেরচর ঘাট থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার শিমুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে পৌলান মোল্লাকান্দি এলাকায় গেলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নৌযান দিয়ে ১০ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর অন্যদের উদ্ধারের জন্য নৌ পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া হাসান বালি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে পালেরচর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিলাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় লঞ্চ বন্ধ ছিল। ট্রলারটি ছাড়ার কিছুদূর যাওয়ার পর ঢেউ ও স্রোতের কারণে উল্টে যায়। এতে সবাই ডুবে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে আসতে পারে।
নৌপুলিশ মাঝিরঘাট ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মৃদুল চন্দ্র কাপালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছি। অন্ধকার ও স্রোত থাকার কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল আসছে। এলেই তারা নদীতে নেমে যাবে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ