মিছিলে লাঠি হাতে কাদের মির্জা
মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে মিছিল
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা শতাধিক অনুসারী নিয়ে লাঠি হাতে মিছিল করেছেন। লাঠি হাতে মিছিলের এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে তোলপাড়।
রোববার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে মিছিলটি বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেষ হয়।
লাঠি হাতে মিছিলের বিষয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কাদের মির্জার লাঠি হাতে মিছিল এটা নতুন রূপ না। এটা তার আগের রূপ। আমি ৪ দিন ধরে এলাকায় নাই। আমি এলাকা থেকে আসার পর সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জায়দল হক কচির ওপরে হামলা হয়। শনিবার রাতেও আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়।
বিজ্ঞাপন
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এটা আমামের প্রতীকী প্রতিবাদ ছিল। গত ৯ মার্চ পৌরসভায় ২ হাজার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। প্রশাসন আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করে নাই। শনিবার সন্ত্রাসীরা আমার ১৫ জন নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ করেছেন, তার বিচার পাইনি। এসবের প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে মিছিলে লাঠিসহ অংশগ্রহণ করেছি।
সকালের বঙ্গবন্ধু চত্বরে কাদের মির্জা মাইকে স্লোগান ধরেন, ‘ওসি রইন্যার (ওসি মীর জাহেদুল হক রনি) চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘শামিমের (এএসপি শামিম কবির) চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘ইউএনওর চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘ডিসির চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘এসপির চামড়া তুলে নেব আমরা’।
বিজ্ঞাপন
কাদের মির্জা আরও বলেন, এখানে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় তারা তাণ্ডব চালাচ্ছে। ডিসি-এসপির নির্দেশে টাকার জন্য প্রশাসন তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। ওরা এখানে একরামের (একরামুল করিম চৌধুরী) রাজত্ব কায়েম করতে চায়।
বক্তব্যে কোম্পানীগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির প্রত্যাহার দাবি করেন বসুরহাট মেয়র।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাদের মির্জার লোকজন পৌরসভা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিরোধী পক্ষের লোকজন গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হন।
হাসিব আল আমিন/এমএসআর