দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আম ব্যবসায়ীদের চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ ও চলাচলের অনুমোদন দিয়ে কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এ ঘোষণা দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, মৃত্যুহার ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে মঙ্গলবার (১ জুন) রাত ১২টা থেকে কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কঠোর লকডাউনের আওতায় ১১ দফা নির্দেশনা বজায় রেখেছে জেলা প্রশাসন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, চলমান কঠোর লকডাউনে সকল নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। তবে জেলার প্রধান অর্থকরী ফল আমের মৌসুমে আমচাষি, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও রফতানিকারকদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আম ব্যবসায়ীদের জেলায় প্রবেশে কোনো বাধা নেই। তারা জেলায় প্রবেশ করতে পারবে ও কোনো রকম বাধা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবে। চলমান কঠোর লকডাউনের আওতায় জেলায় প্রবেশ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, কঠোর লকডাউনে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে, তবে জরুরি পরিষেবা অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাক চালু থাকবে। দ্বিতীয় মেয়াদে আগামী সাত দিনে বাইরের জেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোনো পরিবহন ঢুকতে পারবে না এবং জেলা থেকে অন্য কোথাও যেতে পারবে না। এ সময় আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। 

তিনি বলেন, লকডাউন চলাকালীন সকল প্রকার দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ফার্মেসি খোলা থাকবে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে অব্যশই মাস্ক পরিধান করে যেতে হবে। এমনকি জুম্মাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ২০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। 

আম বাজারজাতকরণ ও পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমের আড়তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। তবে সরাসরি বাগান থেকে ট্রাকে আম পরিবহন করা যাবে। এ ছাড়া অনলাইনে অর্ডার গ্রহণ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। শিল্প কল-কারখানার শ্রমিকরা নিজস্ব পরিবহনে যাতায়াত করবে। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবা কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য পরিবহন, কোভিড টিকা, ত্রাণ বিতরণ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী, ইন্টারনেট লাইন সংযোগ সংশ্লিষ্টরা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আরএমও জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। 

জাহাঙ্গীর আলম/এসপি