নেত্রকোনায় আকস্মিক ঝড়ে অন্তত দেড় শতাধিক কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় দুই নারীসহ আহত হয়েছেন পাঁচজন। সোমবার (৩১ মে) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ও নওপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার ওপর দিয়ে আকস্মিক ঝড় বয়ে যায়। 

ঝড়ে গুরুতর আহত বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভরাপাড়া গ্রামের রইছ উদ্দিনের স্ত্রী মিঠু আক্তারকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের বাসিন্দা আহত রহমত উল্লাহ (৩০) এবং তার স্ত্রী তহুরা আক্তারকে (২৫) কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

খবর পেয়ে বিকেলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন খন্দকার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদেী হাসান মৃধা।

উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঝড়ে আমার ইউনিয়নের নোয়াদিয়া বাজার, নোয়াদিয়া গ্রাম, ভরাপাড়া ও লস্করপুর গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। তবে বিধ্বস্ত হওয়া এসব ঘরের মধ্যে নোয়াদিয়া বাজারের (বালিজুড়া) কয়েকটি দোকানপাটও রয়েছে। 

উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঝড়ে আমার ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামের দুটি মসজিদসহ ২০টির মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখে তালিকাও প্রস্তুত করেছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মইনউদ্দিন খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

আকস্মিক এই ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সম্পন্ন হলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।

জিয়াউর রহমান/আরএআর