মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে মাদকাসক্ত বাবা-ছেলের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে স্থানীয় এক সালিসকারী। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে গুরুতর আহত সালিসকারী সোহেল গাজিকে (৪৫) মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, শিমুলিয়া গ্রামের আনসার আলি মালের মাদকাসক্ত ছেলে কাউসার মাল (৪২) শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে তার মা আয়েশা বেগমকে (৬৫) মারধর করেন। তার মা স্থানীয় সোহেল গাজির কাছে ছেলের বিচার চান। পরে সোহেল গাজি সোমবার বিকেলে উজ্জ্বল গাজির দোকানের সামনে কাউসারকে নিজের  মাকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করেন।

এ সময় কাউসার ও তার ছেলে জিহাদ (১৮) সোহেল গাজির ওপর হামলা চালিয়ে সোহেল গাজিকে মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।

সোহেল গাজি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাউসার একজন মাদকসেবী ও বিক্রেতা। সে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। আমি এর আগে তাকে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। গত শুক্রবার সে তার মাকে মারধর করে। তার মা আমার কাছে বিচার দিলে আমি তার মাকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে এবং তার ছেলে জিহাদ আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছি। একটু সুস্থ হলে থানায় অভিযোগ করব।

এ ব্যাপারে কাওসার মাল মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সোহেল গাজির সালিস মানি না। সে আমার কাছে সালিস করতে এসে আমাকে মারধর করেছে। তাই আমিও তাকে মেরেছি। মাকে মারধরের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার মা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলায় আমার সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়েছে।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব.ম শামীম/এনএ