মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শকের দফতরের পারসোনাল অফিসার (পিও) নূর রায়হান ও গাড়িচালক আবদুল হালিম। ধরা পড়েও পুলিশের কাছে মাদক সেবনের কথা অস্বীকার করেন। পুলিশও নাছোড়বান্দা। তাদের রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। ডোপ টেস্টে আটকে যান ওই দুইজন। 

সোমবার (৩১ মে) মামলা দায়ের শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। 

এর আগে রোববার (৩০ মে) সন্ধ্যার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের আমবাগান এলাকা থেকে ওই দুজনকে আটক করে চন্দ্রিমা থানার একদল টহল পুলিশ। ওই সময় আটক করা হয় মেহেরচণ্ডী পূর্বপাড়া এলাকার গাঁজা বিক্রেতা মো. শুভ্রকেও। 

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর জানিয়েছেন, গাঁজা সেবনের সময় টহল পুলিশের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ওই তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে। ওই সময় তারা মাদক সেবনের কথা অস্বীকার করেন। পরে তাদের নিয়ে রামেক হাসপাতালে গিয়ে ডোপ টেস্ট করা হয়। এতে চিকিৎসক সনদ দেন, তারা মাদক সেবন করেছেন। 

এরপর রাতেই তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিন জনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে মাদক সেবনের সময় কর্মকর্তা ও গাড়ি চালক হাতেনাতে গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ তাদের মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/জেডএস