ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিনে ভাইরাল ভিডিওটি শর্টফিল্মের
বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কেএম জিল্লুর হোসেন জিন্নাহর সঙ্গে ভাতিজা কেএম শোভন
নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেনের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিল্লুর হোসেন জিন্নাহর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার ভাতিজা কেএম শোভন। ভিডিওতে দেখা যায় শোভন পিস্তল উঁচিয়ে ধরে চাচা জিন্নাহর পেছনে মোটরসাইকেলে বসে আছেন। সেই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পুলিশও ঘটনাটি তদন্তে মাঠে নামে।
এখন পোস্ট দাতা শোভন এবং পুলিশ উভয়েই বলছে, ভিডিওটি একটি শর্ট ফিল্মের দৃশ্য এবং উঁচিয়ে ধরা পিস্তলটি প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাইক চালাচ্ছেন চাচা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিন্নাহ এবং তার পেছনে বসে হাতে একটি পিস্তল উঁচিয়ে প্রদর্শন করছেন ভাতিজা শোভন। ভিডিও চিত্রের সঙ্গে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন চাচ্চু’। তবে বিকেলের দিকে শোভনের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কেএম শোভন বলেন, তার চাচাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ভিডিওটি পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যাওয়া পিস্তলটি প্লাস্টিকের তৈরি এবং এ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল একটি শর্ট ফিল্মের জন্য।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওর বিষয়ে বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, জিল্লুর ও শোভনের মাথায় কোনো বুদ্ধি নেই। নাটকের একটা দৃশ্য পোস্ট করে এলাকায় শুধু শুধু হইচই ফেলেছে। ওটা আসল পিস্তল নয়। ওদের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, সেখানে ছাড়ার জন্য শুটিং করেছিল।
ভিডিওটি নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করার কথা স্বীকার করে কেএম শোভন বলেন, ওই দৃশ্য ‘নেতা’ নামের একটি নাটকের শুটিং করার সময় ধারণ করা হয়েছিল। চাচার জন্মদিনে অন্য কোনো ছবি পাচ্ছিলাম না, তাই শুভেচ্ছা হিসেবে ভিডিওটি পোস্ট করেছি। তবে ছাড়ার পর বুঝেছি এটা পোস্ট করা ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিল্লুর হোসেন জিন্নাহর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) খাইরুল আলম জানান, ঘটনাটি পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছে। তদন্তে ভিডিওটি ‘নেতা’ নামে একটি শর্টফিল্ম থেকে নেওয়া বলে মনে হয়েছে। দেখানো পিস্তলটি প্লাস্টিকের এবং সেটাও জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পিস্তলটি খেলনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পিস্তলটি খেলনা হলেও এ ধরনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ঠিক হয়নি।
তাপস কুমার/আরএআর/জেএস