কৃষকের হাসি কেড়ে নিল ছোট আকারের কুমড়া
মাঠজুড়ে শুধু মিষ্টি কুমড়া। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মিষ্টি কুমড়ায় একটু বেশি লাভ হয়ে থাকে। তবে এবারে ঠাকুরগাঁও জেলার চিত্রটি ভিন্ন। লাভের আশায় কুমড়ার আবাদ করলেও এবারে প্রখর রোদ ও বৃষ্টির কারণে আকার বৃদ্ধি পায়নি কুমড়ার। যার কারণে কমেছে কুমড়ার দামও। হতাশ হয়ে জমি থেকে কৃষকরা তুলছেন কুমড়াগুলো। যেন কারও মুখে নেই হাসি।
মঙ্গলবার (০১ জুন) জেলার বিভিন্ন এলাকায় গেলে এমনি চিত্র চোখে পড়ে। লাভের আশায় লাগানো কুমড়া নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। মাঠ থেকে কুমড়া তুললেও মুখে নেই কারও হাসি।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে কুমড়ার আকার ছোট হওয়ায় বাজারে নেই তেমন দামও। লাভের মুখ দেখবেন কি না তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন কৃষকরা। এদিকে কৃষি অধিদফতরের মতে, বাজারে মিষ্টি কুমড়ার সঠিক দাম না পাওয়ায় এবারে জেলায় কমেছে আবাদের সংখ্যা।
এবার ঠাকুরগাঁওয়ে ৯৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ১ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছিল। যার মধ্যে উৎপাদন হয়েছিল ২৮ হাজার ২৬ মেট্রিক টন।
বিজ্ঞাপন
কৃষি অধিদফতরের এই তথ্যমতে, এবার জেলায় কমেছে কুমড়ার আবাদ ও উৎপাদন। এরপরেও জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এই জেলার মিষ্টি কুমড়া।
সরেজমিনে জানা যায়, কয়েকদিনের আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আকারে বৃদ্ধি পায়নি মিষ্টি কুমড়া। অপরদিকে টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে রাখা যাচ্ছে না কুমড়া। আকার বৃদ্ধি না পাওয়ায় অবশেষে জমি থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে কুমড়াগুলো। বাজারেও নেই তেমন দাম। যদিও স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই জেলার কুমড়া যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়।
কৃষকদের দাবি বাজারের নিম্নমানের বীজ, প্রখর রোদ ও বৃষ্টির কারণে যেমন আকারে বৃদ্ধি পায়নি কুমড়া, ঠিক তেমনি কমেছে দাম। বাইরেও তেমন নেই ছোট আকারের মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা।
সদর উপজেলার ভুল্লী সিঙ্গিয়া এলাকার কৃষক অভিজিৎ বলেন, এক একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে। তবে রোদ ও বৃষ্টির কারণে কুমড়ার আকার বৃষ্টি না পাওয়ায় অনেক ছোট হয়েছে। এই ছোট কুমড়া সহজে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন বলেন, এবারে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে গত বছরের তুলনায় আমাদের জেলায় কমেছে কুমড়ার আবাদ। এছাড়াও বাজারে ১৫০ থেকে ২৩০ টাকা পর্যন্ত কুমড়ার মণ চলছে।
নাহিদ রেজা/এমএসআর