উপকূলীয় অঞ্চলে পানি প্রতিবেশ সুরক্ষা ও কার্যকরী ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটি। বুধবার (০২ জুন) খুলনা সিটি করপোরেশনের শহীদ আলতাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির নেতারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কমিটির চেয়ারপারসন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সদস্য সচিব অ্যাওসেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও নদীর গতিপথ ঠিক রেখে জনগণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ, বিপদাপন্ন পরিবারগুলোর সব প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ, ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন, উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ সহনীয় পুকুরসহ খাসজমিতে ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি এবং সমন্বিত উপকূলীয় এলাকায় জমি ব্যবহার নীতি ও আইন প্রণয়নের দাবি তুলে ধরা হয়।

কমিটির নেতারা বলেছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৪ জেলার ২৭টি উপজেলা অতি জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানের বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে চিংড়ি ও মাছের ঘের।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও লোনা পানির হাত থেকে এই এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ষাটের দশকে উপকূলীয় বাঁধ নির্মিত হয়েছিল। বছরের পর বছর বাঁধগুলোর সংস্কার না করা, স্লুইস গেটগুলো যথাযথ ব্যবহার না করায় ফলে গেটের মুখে পলি ভরাটে নষ্ট হয়ে গেছে।

বাঁধ কেটে কৃষিজমিতে লোনা পানির চিংড়ি চাষের ফলে বাঁধ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে সব এলাকার বাঁধ কেটে লোনা পানি প্রবেশ করানো হয়েছে সেই এলাকার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।    

সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জুন বর্ষা দিবস পালন ও একই সময়ের মধ্যে উপকূলের ১৯ জেলায় পানি সংকট তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনার ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলীপ কুমার দত্ত, পানি সম্মেলন কমিটির কো-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন, এবিএম শফিকুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, হুমায়ূন কবির ববি প্রমুখ।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর