শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত শাকিল আহম্মেদ নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় তার ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এ ব্যাপারে সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

শাকিল আহম্মেদ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভেদরগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের গাজী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীতকরণকাজ শুরু হয়। শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম কাজের উদ্বোধন করেন। পরবর্তী ওই সড়ক প্রশস্ত করার লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণকাজ শুরু হয়। বর্তমানে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে ওই মহাসড়কের দুপাশ ঘিরে অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে একটি প্রভাবশালী চক্র। যাতে স্থাপনা দেখিয়ে সরকারি মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করতে পারে।

সেই সংবাদ সংগ্রহের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে শাকিল আহম্মদ ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয় দালাল আহমদ আলী ও মাইন উদ্দিন তার ওপর চড়াও হন। এরপর লাঠি ও শাবাল নিয়ে হামলা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।

শাকিল আহম্মেদ বলেন, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সংবাদ শুনে আমি চাঁদপুর-শরীয়তপুর মহাসড়কে পাশের স্থাপনা দেখার জন্য যাই। গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে তা আমার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা জন্য বের করি। তখন স্থানীয় দালাল আহমদ আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় মহিউদ্দিন ও পারভেজ আমার ওপর লাঠি ও শাবল দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় আমি রক্ষা পাই। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করি।

এ ব্যাপারে আহমদ আলীকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ