শাহজাদপুরে সড়ক বেহাল

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের মরুটিয়া থেকে চকহরিপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। সড়কটি দিয়ে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ, জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাট তালগাছি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাজারও মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।

একই সাথে এই এলাকায় ৩শ হেক্টর আবাদি জমির ফসল আনা-নেওয়া করার জন্য ব্যবহার করা হয় এই রাস্তাই। কাঁচা এই রাস্তাটি দিয়ে হেঁটে চলাই যেন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। রোগীকে হাসপাতালে নিতে হয় কাঁধে বা গরুর গাড়ি করে। বিভিন্ন সময় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে মাটির কাজ করানো হলেও তা কাজেই আসছে না।

কাঁচামাটি পানির স্পর্শ পেয়ে রাস্তায় হাঁটুকাদার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। বর্তমানে এই এলাকার মানুষের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিম পদ্ধতির মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ি। যা দিয়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা নেওয়া থেকে শুরু করে চলছে সবকিছু।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বাবু ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই রাস্তাটি কবে পাকা হবে তা বলা যাচ্ছে না। রাস্তা দেখতে লোক আসে কিন্তু পাকা আর হয় না। এদিকে আমাদের একমাত্র চলার রাস্তাটিতে হাঁটু পর্যন্ত কাদা থাকায় খালি পায়েও চলতে পারি না। 

স্থানীয় কৃষক শামসুল হক বলেন, কী করব ভাই? বাজার থেকে মালামাল আনি ঘোড়ার গাড়ি বা মহিষের গাড়ি দিয়ে। সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে রক্ত ঘামিয়ে ফলানো ফসল ঘরে তুলতে রাস্তা খারাপ হওয়ায় বড় অংশ চলে যাচ্ছে পরিবহনে। এই রাস্তাটি শুধু বর্ষা মৌসুমে নয়, ১২ মাসই বেহাল থাকে। আমরা খুব কষ্টে আছি। মানুষ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব তারও উপায় নেই।

কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেবুল হক হাসান বলেন, গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি বিভিন্ন সময় মাটির কাজ করা হলেও বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে আবেদন করেছি যেন রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই মরুটিয়া থেকে চিনাধুকুরি পর্যন্ত রাস্তা টেন্ডার হয়েছে। খুব দ্রুত চিনাধুকুরিয়া থেকে চকহরিপুর পর্যন্ত সাবমার্সেবল রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।

এমএসআর