কালো পাহাড় যেসব খাবার খায়
চার বছর বয়সী ষাঁড় গরুটির নাম ‘কালো পাহাড়’। ৩২ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। শনিবার (৫ জুন) দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর শহরের খেলার মাঠে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর কর্তৃক আয়োজিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
কালো পাহাড়ের মালিক উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা চংনোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মজলিশ মিয়া বলেন, গরুটির রং কালো হওয়ায় আমরা তাকে কালো পাহাড় বলে ডাকি। এটি আমার ঘরের বাছুর। খুবই শান্ত প্রকৃতির। বর্তমান গরুটির বয়স চার বছর। ওজন ৩২ মণের কিছু বেশি হবে।
প্রতিদিন গরুটির খাবার বাবদ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মতো খরচ জানিয়ে তিনি বলেন, খাবার হিসেবে নিয়মিতভাবে কাঁচা ঘাস ও শুকনা খড়ের পাশাপাশি ধানের কুঁড়া, ভূসি, কাঁঠাল, ভুট্টা, মিষ্টিকুমড়া এবং বাজার থেকে কিনে উন্নত মানের দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হয়।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে গরুটির দাম সাত লাখ টাকা হচ্ছে জানিয়ে মজলিশ মিয়া বলেন, আসছে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে আশা করছি গরুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব। তবে ১০ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করে দেবেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খোরশিদ দেলোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক লালন-পালন বিষয়ে প্রান্তিক খামারিদের অবহিত করাসহ আরও কিছু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনব্যাপী এই প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মইনউদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল কাদির ভূইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া ও কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টরা প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীতে মোট ৩৩টি স্টলে ষাঁড় গরু, গাভি, ছাগল, ঘোড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, দিনব্যাপী প্রদর্শনী শেষে তিনটি ক্যাটাগরিতে নয়টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হবে।
মো. জিয়াউর রহমান/এনএ