সাতক্ষীরার জনপ্রিয় হিমসাগর আম এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে উঠতে শুরু করায় জেলা প্রশাসনের ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জরুরি এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৫ মে থেকে গাছ থেকে হিমসাগর আম সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আম সংগ্রহের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২০ মে থেকে এগিয়ে এনে ১৫ মে নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে, প্রশাসনের নির্ধারিত সময় অমান্য করে চাষিরা বাজারে আম তোলেন। তাদের দাবি, গাছে আম পাকতে শুরু করেছে এবং ঝরে পড়ছে। বাধ্য হয়ে তারা আগেই আম তুলতে শুরু করেন। এ ছাড়া সময়মতো আম তুলতে না পারায় বাজারে সঠিক মূল্যও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।

বুধবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব। প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকায়। অথচ কয়েকদিন আগেই তুলতে পারলে প্রতি মণ হিমসাগর আম ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হতো বলে জানান কৃষকরা।

সুলতানপুর কাঁচাবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রজব আলী বলেন, ‘গাছে এখন পরিপক্ব আম ঝরে পড়ছে, অথচ প্রশাসন আম উঠাতে দিচ্ছে না। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এখন যদি প্রশাসন এসে আম নষ্ট করে দেয়, তাহলে আমরা আর আম বিক্রি করব না। সাতক্ষীরার বাজার থেকে দেশের কোথাও আম যাবে না।’

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আম পাকলে সংগ্রহ করা যাবে না, এমন নয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে আম সংগ্রহ করতে হবে।’

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘বাস্তবতা আমাদের দেখতে হবে। কৃষকদের দাবি যৌক্তিক। তাই আজই হিমসাগর আম সংগ্রহের তারিখ পরিবর্তন করছি।’

প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন আম চাষিরা। তবে তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি যেন ভবিষ্যতে না হয়, সেজন্য বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইব্রাহিম খলিল/এমএ