খুলনা বিভাগে করেনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫২ জনের। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬০ জন। শনিবার (০৫ জুন) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খুলনার দুইজন, চুয়াডাঙ্গায় দুইজন, ঝিনাইদহে একজন ও কুষ্টিয়ার একজন।

খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শনিবার (০৫ জুন) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬৬ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ৭৫৩ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা য়ায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ২২৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩১৮ জন।

এ ছাড়া বাগেরহাটে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭১৮ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৩২ জন। সাতক্ষীরায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪২০ জন।

যশোরে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২২৪ জন, মারা গেছেন ৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৩৩ জন। নড়াইলে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৯৮ জন, মারা গেছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৯ জন। মাগুরায় করোনায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৭২ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২০৯ জন।

ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৪৭ জন, মারা গেছেন ৫৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৬ জন। কুষ্টিয়ায় করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ১৩৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১১৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৮ জন।

চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৮ জন, মারা গেছেন ৬৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮২০ জন। শনাক্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৪৮ জন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৩ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন এবং এইচডিইউতে ৭ জন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর