ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত হচ্ছে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক। এটি স্থাপনে অর্থায়ন করছে ইউনিসেফ। এ কাজ সম্পন্ন হলে এ হাসপাতালের রোগীদের অক্সিজেনের জন্য আর ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম ছুটতে হবে না। এতে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি কমবে এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের দুর্ভোগও লাঘব হবে। এমনটা মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১২ হাজার লিটারের এই ট্যাংকটি স্থাপনের কাজ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে সিলিন্ডারের অক্সিজেনের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গত এপ্রিল মাস থেকে ইউনিসেফের অর্থায়নে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনকাজ শুরু হয়।

তারা জানায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদরের হাসপাতালটিতে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই কপার পাইপ, ভ্যাপারাইজারসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনের কাজ চলছে। প্রায় সব কটি শয্যার পাশে থাকবে অক্সিজেন পোর্ট।

হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, প্রথম দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ছিল না আইসিইউ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেনী ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের সহযোগিতায় সালেহউদ্দিন-হোসনে আরা চৌধুরী ফাউন্ডেশন হাপসাতালটিতে হাই ফ্লো অক্সিজেন সেবা নিশ্চিত করতে ১০টি বড় আকারের ম্যানিফোল্ড অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৪৫টি অক্সি-মিটার প্রদান করেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দুই শয্যার আইসিইউ সুবিধা।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল হোসেন ভূঞা ঢাকা পোস্টকে জানান, এত দিন অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে আইসিইউ চালু করা যায়নি। ট্যাংক স্থাপনের ফলে জেলায় অক্সিজেন-সংকট থাকবে না। এ অক্সিজেন দিয়েই পর্যায়ক্রমে ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করা যাবে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৪০ থেকে ৬০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন লাগে। হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক না থাকায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটত। অনেক রোগীকে ঢাকা, চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হতো। এখন থেকে রোগীদের সঠিক সময়ে অক্সিজেন সেবা দেওয়া যাবে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, ইতোমধ্য ট্যাংক স্থাপনের কাজ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি এ মাসের মধ্যই সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে। আগামী মাস থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে শুরুর ছয় মাস পর্যন্ত ইউনিসেফ নিজস্ব লোক দিয়ে কাজ করবে। এ সময়ের এটি পরিচালনার জন্য আমরা দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারব।

হোসাইন আরমান/এনএ