বাউফলে ডেঙ্গু আতঙ্ক
‘বাইরের মশা’ নয়, আপনার ঘরের আঙিনাই ডেঙ্গুর উৎস!
দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু এর মধ্যেও জনগণের বড় অংশ এখনও সচেতন না হওয়ায় পরিস্থিতি দিনদিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
বাউফল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাসাবাড়ির আঙিনায় প্লাস্টিকের ড্রাম, পরিত্যক্ত টব, টায়ার, বোতল ও ডাবের খোসায় জমে আছে পানি। এগুলো এডিস মশার বংশবিস্তারের আদর্শ স্থান।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর ৮০ শতাংশ সংক্রমণ বাড়ির ভেতরেই হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ এখনও বিশ্বাস করে, ‘বাইরের মশা’ই সমস্যা। অথচ নিজের ঘরে জমে থাকা পানির দিকে তারা নজর দেন না
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর ৮০ শতাংশ সংক্রমণ বাড়ির ভেতরেই হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ এখনও বিশ্বাস করে, ‘বাইরের মশা’ই সমস্যা। অথচ নিজের ঘরে জমে থাকা পানির দিকে তারা নজর দেন না।
বাউফল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হাসান সিকদার বলেন, ‘ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে টেলিভিশনে অনেক শুনেছি। লোকের মুখেও শুনতাম। কিন্তু কখনও ভাবিনি নিজের বাড়ির আঙিনায় পানি জমে থাকা একটি ফুলদানি কিংবা পলিথিনে জমে থাকা বৃষ্টির পানিই ডেঙ্গুর উৎস হয়ে উঠবে।’
বিজ্ঞাপন
বাউফল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে, বাসার ছাদে, ড্রেনের পাশে এবং বাজারের পেছনে জমে আছে নোংরা পানি। অনেক জায়গায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে মশা নিধন কার্যক্রম চোখে পড়েনি
বাউফল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে, বাসার ছাদে, ড্রেনের পাশে এবং বাজারের পেছনে জমে আছে নোংরা পানি। অনেক জায়গায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে মশা নিধন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, ‘জনগণ নিজের দায়িত্ব নেয় না। প্রশাসনের কাজ আলাদা, কিন্তু নিজ ঘর পরিষ্কার রাখা তো নিজের দায়িত্ব।’
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘ডেঙ্গু রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজ ঘর ও চারপাশ পরিষ্কার না রাখলে কোনো ওষুধই কাজে আসবে না। সাধারণ ডেঙ্গুতে মানুষের অনেক কষ্ট হয়, জ্বর হয়, শরীর ব্যথা হয়। কিছু কিছু ডেঙ্গু আছে খুব বিপজ্জনক, রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।’
এমএআর