নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মনি ওরফে মিতুকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্বামী একরামুল হক রবিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত একরামুল হক রবিন সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিয়ের কিছুদিন পরই স্ত্রী মনি ওরফে মিতুর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করেন রবিন। তখন এক লাখ ১০ হাজার টাকা রবিনকে দেয় মিতুর পরিবার। কিছুদিন পর আবারও মিতুর পরিবারের কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি।

যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই রাতে মিতুকে শারীরিক নির্যাতনে হত্যার পর পালিয়ে যান রবিন। ঘটনার পরদিন ১৮ জুলাই রবিন ও তার বাবা রফিকুল ইসলামকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করে মিতুর পরিবার।

১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে একরামুল হক রবিনের বিরুদ্ধে মুত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিচারক। সেই সঙ্গে রবিনের বাবা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নিরঞ্জন বসাক এবং মো. শফিকুল ইসলাম।

জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল বলেন, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মনি ওরফে মিতুকে হত্যায় স্বামী একরামুল হক রবিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এএম