সেই নবজাতকের ঠিকানা খুলনার ছোটমণি নিবাসে, ২৭ দম্পতির আবেদন
বাগেরহাটে চায়ের দোকানের পেছনে থাকা ক্যারম বোর্ডের ওপর থেকে ভোর রাতে পাওয়া নবজাতককে খুলনা ছোটমণি নিবাসে (বেবি হোম) পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৯ জুন) বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই নবজাতককে খুলনা ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন সমাজসেবা অধিদফতর বাগেরহাটের উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম। এ সময় প্রবেশন অফিসার মো. সোহেল পারভেজ, বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম, হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
নবজাতকটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যে শিশুকল্যাণ বোর্ডের কাছে ২৭ দম্পতি আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন সমাজসেবা অধিদফতর, বাগেরহাটের উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যে শিশুকল্যাণ বোর্ডের কাছে ২৭ দম্পতি আবেদন করেছেন। শিশুকল্যাণ বোর্ড যাচাই-বাছাই করে দত্তক দেওয়াটা একটু সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই আমরা শিশুটিকে খুলনা বিভাগীয় ছোটমণি নিবাসে পাঠিয়েছি। আপতত নবজাতকটি সেখানে থাকবে।
সোমবার (৭ জুন) ভোর ৪টায় ৯৯৯-এ কল পেয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর গ্রামের সাইদুলের চায়ের দোকান থেকে এই মেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। পরে নবজাতককে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারের পর থেকে আমাদের একজন নারী পুলিশ সদস্য সব সময় নবজাতকের পাশে ছিলেন। সমাজসেবা অধিদফতরের চাহিদা অনুযায়ী খুলনা শিশুনিবাসে পাঠানোর জন্য আমরা পুলিশ ফোর্স দিয়েছি।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের বাগান থেকে একটি ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করেন শাহ আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক শিক্ষক দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন।
তানজীম আহমেদ/এনএ