এমপি জাফরকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তার সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে তার বহিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মহাসড়কের চকরিয়া অংশে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। এতে দুই দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
বিজ্ঞাপন
তার সমর্থকদের দাবি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা চকরিয়ার শান্ত পরিবেশ অশান্ত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি তাকে বহিষ্কার করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সংসদ সদস্য জাফর আলমকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম লিটু ও ডুলহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুল ইসলাম আদরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নৌকার মনোনীত প্রার্থীর ওপর হামলা মানে আওয়ামী লীগের ওপর হামলা। তার আজকে জরুরি সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেখানে সবাই নেত্রীর নির্দেশে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছি। সেখানে প্রচারণা সভায় প্রার্থীর উপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। তাই এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডুলহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুল ইসলাম আদরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন রাতে চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী সভা চলাকালে সংসদ সদস্য জাফরের গাড়ি থেকে নেমে বর্তমান মেয়র ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীসহ তার কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়।
মহিব/এসকেডি