দুটি ফ্যান, তিনটি বাতি আর একটি ফ্রিজ ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২০ হাজার টাকা। বিল দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে  পড়েছে আব্দুল হক মুন্সির। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

ছিলারচর এন্তাজউদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পিওন আব্দুল হকের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। তা দিয়ে টেনেটুনে চলে ৫ জনের সংসার। এ অবস্থায় মে মাসে ২০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তার বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নং- ৩৭২-১২৭৩।

আব্দুল হক মুন্সি মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একজন নিয়মিত গ্রাহক। তিনি বলেন, কখনও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখি না। দুটি ফ্যান, তিনটি বাতি ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার করে বিগত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিল এসেছে যথাক্রমে ২৪৪, ২০৩, ৩৬৬, ৩৯৫ ও ৪৬২ টাকা। কিন্তু মে মাসে ১ হাজার ৮৮৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচের হিসাব দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বিল করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। যা জুন মাসে পরিশোধ করতে হবে। 

আব্দুল হক বলেন, বিল পরিশোধে বিলম্ব হলে গুনতে হবে বাড়তি ১ হাজার টাকা জরিমানা। গত ৩০ মে সংশোধন করে ফের বিদ্যুৎ বিল করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ১০ জুন আবারও পল্লী বিদ্যুতের অফিস আবেদন করতে বলেন তদন্ত করার জন্য। 

তিনি বলেন, আবেদনের পর মিটার পরিবর্তন করেছে। তবে বিল সংশোধন করেনি। বিদ্যুৎ বিলের চিন্তায় ঝামেলায় আছি। 

মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজার প্রকৌশলী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিষয়টি আমি নিজেই দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিম খাতুন জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের ম্যানেজারকে জানাব যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

নাজমুল মোড়ল/এইচকে