লকডাউন অমান্য করায় নোয়াখালীতে ২২৫ মামলা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে এক সপ্তাহের লকডাউনে কঠোর অবস্থানে ছিল নোয়াখালী জেলা প্রশাসন।
৫ জুন (শনিবার) থেকে ১১ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত নোয়াখালীতে অভিযান পরিচালনা করে ২২৫টি মামলায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৪টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে করোনা রোধে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত নোয়াখালীতে অভিযান পরিচালিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৭টি টিম অভিযান চালিয়ে ২২৫ মামলায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৪ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আমাদের সমাজে আইন অমান্য করার প্রবণতা রয়েছে। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মানুষজন নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। করোনার সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে চলমান লকডাউনের সময়সীমা সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলায় সব ধরনের গণপরিবহন ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার বাস চৌমুহনী চৌরাস্তা অতিক্রম করতে পারবে না। লকডাউনকৃত এলাকাগুলোতে ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচা বাজার খোলা থাকবে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শর্ত সাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল। তবে হোটেলে বসে খাবার খাওয়া যাবে না। জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর কাজে নিয়োজিত পরিবহন এবং যানবাহনের পরিসেবা চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৫ টায় জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান জেলাবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার স্বার্থে নোয়াখালী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নোয়াখালীর পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরও সাতদিন বাড়িয়ে ১৮ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/এমএএস